লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীর হোতা আসাদুজ্জামানসহ তার সহযোগী ইদ্রিস নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৭ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি মালগড়া গ্রামের মৃত: আলতাব মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান ভাষানী (৪৫) ও একই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪০)। সীমান্তবাসী জানান, কয়েকজন গরুর রাখাল বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৭ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলারের কাছ দিয়ে ভারতের গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনতে সেদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তারা গরু নিয়ে ফেরার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন সাতভান্ডারিয়া ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে আসাদুজ্জামান ভাষানী ও মোসলেম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে মারা যান। এসময় আহত হন আরও কয়েকজন। আহতরা পালিয়ে দেশে ফিরে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভারতীয় সীমান্তবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ছবি তুলে বাংলাদেশী সীমান্তবাসীকে পাঠালে তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় মরদেহ দু’টি সীমান্তের প্রায় ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত দু’জনের মরদেহ সীমান্তের ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে। আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মৃত্যুসংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের স্থানীয় ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান । স্থানীয়রা আরও বলেন, মাদকসহ গরু চোরাকারবারীরা ভারতের সীমান্তে গিয়ে বিএসএফ’র সাথে মারমুখি আচরণ করলে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। নিহত আসাদ ও ইদ্রিসের লাশ ভারতীয় বিএসএফ ভারতে নিয়ে গেছে।