বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য সিটি ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ৫ থেকে ১১ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলেও বরাদ্দ না থাকায় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। দ্রুত ভ্যকসিন বরাদ্দ দিয়ে সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
সূত্র জানায়, ৫ বছর থেকে ১১ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সের শিক্ষার্থীদের শরীরে ফাইজার করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রায় ২ মাস আগে নির্দেশনা আসার পর সুরক্ষা এ্যাপের মাধ্যমে সন্তানদের রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছেন অভিভাবকরা।
বড়বাজার সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাজ উদ্দিন জানান, নির্দেশ মোতাবেক তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বিলম্ব হওয়ায় প্রতিদিনই অভিভাবকরা এসে ভ্যাকসিনের জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নুরুল ইসলাম দ্রুত ভ্যাকসিন বরাদ্দ দিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবী জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (ইউএইচও) ডা. শামীমা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে ৫১ হাজার ২শত ২ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তত করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই প্রত্যেক স্কুলে গিয়ে শিশুদের দ্রুত ভ্যাকসিন দিবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।