ফরিদপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বারি-৪ ও বারি-৫ জাতের তিল চাষাবাদে সফলতা পেয়েছে ফরিদপুরের চাষীরা। এবছর জেলার বসু নরসিংহদিয়া এবং পদ্মা নদীর নর্থ চ্যানেলের চরে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক আবাদ করে সুফল পেয়েছেন চাষীরা।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুরের আয়োজনে জেলার সদর উপজেলার বসু নরসিংহ দিয়া গ্রামে প্রদর্শনী এলাকায় আয়োজিত মাঠ দিবসে এ তথ্য উপস্থাপন করেন বারি-৪ ও বারি-৫ জাতের তিল চাষীসহ কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুরের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। গত শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহমেদ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আনোয়ার হোসেনসহ মসলা গবেষণা কেন্দ্র মাগুরা ও ফরিদপুরের বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চাষীদের দাবী, দেশীয় তিলের তুলনায় এই তিল চাষাবাদ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন তারা। দেশীয় তিল যেখানে বিঘায় তিন থেকে চার মণ উৎপাদন হয় সেখানে বারি-৪ ও বারি-৫ জাতের তিল চাষাবাদে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মণ বিঘা প্রতি ফলন ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন তারা। তাদের দাবী, দেশীয় তিলে চার শিরায় হয়, কিন্তু এই তিলে আট শিরা এবং প্রতি শিরায় দানার পরিমাণও অন্তত ২০ শতাংশ বেশি। তাই অধিক লাভবান বিবেচনায় আগামীতে তারা বারি-৪ ও বারি-৫ জাতের তিল আবাদ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট, গাজীপুরের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জানান, সরকারকে এখনো দেশের তেলের মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, দেশীয় জাতের স্থানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বারি-৪ ও বারি-৫ জাতের তিল আবাদ করা গেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এতে আমদানি নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে। তিনি আগামীতে রোগ সহনশীল এই জাতের তিল আবাদে আগ্রহী হতে কৃষকদের আহ্বান জানান।