খোকন মজুমদার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা বিনির্মাণে শুদ্ধাচার চর্চার কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসন যত বেশি শুদ্ধ হয়ে মানুষের প্রতি সেবামুখী হবে, ততই জাতির কল্যাণ হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড আরো ত্বরান্বিত করতে হলে প্রত্যেককে অবশ্যই শুদ্ধাচার কৌশল অবলম্বন করতে হবে। গত সোমবার সকাল ১১টায় বিভাগীয় কমিশনার এর সম্মেলন কক্ষে শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও বেসিকের সমপরিমাণ নগদ অর্থ প্রদানকালে প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এসব কথা বলেন। গত ২৬ জুলাই অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও সদস্য সচিব, নৈতিকতা কমিটি বিভাগীয় কার্যালয় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাদেরকে মনোনীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, লোভ সংবরণ করে শুদ্ধাচার চর্চা করতে পারলে একদিকে মানুষ উপকৃত হবে অন্যদিকে নিজেরা সর্বত্র সম্মানিত হবে। ‘জনসেবায় জনপ্রশাসন’ এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সরকারী সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় অতি সহজে পৌঁছে দিচ্ছেন বলেই সরকারের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা করোনাকালীন সময়েও জাতির কল্যাণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার কারণে যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারা অবশ্যই শুদ্ধাচারী। এ স্বীকৃতি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। যারা শুদ্ধাচার পুরস্কার পায়নি, কিন্তু প্রতিযোগিতায় ছিল তারাও অনেক ভালো করেছে। আগামীতে তাদের মধ্যে থেকে শুদ্ধাচারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বেরিয়ে আসবে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুছা আবু নাছের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণসহ অফিসের কর্মচারীরা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনসহ বিভাগীয় পর্যায়ে তিনজনের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিভাগীয় পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনসহ তিনজন। অন্য দু’জন হচ্ছে-বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারের পি.এস খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত। অন্য একজন উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী নেপাল কান্তি দাশ। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, সততা, শৃঙ্খলাবোধ, কর্তব্যনিষ্ঠা, ভালো আচরণ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, উদ্ভাবন চর্চা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নসূচকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারীভাবে এ তিনজনকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা। এসময় অনুষ্ঠানে ক্যাটাগরি ভিত্তিক শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত ও উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী নেপাল কান্তি দাশ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।