নিজস্ব প্রতিনিধি
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে প্রযুক্তিগত সুবিধা সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেয়ার তাগিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিল্পমালিকদের। তারা বলেন, প্রযুক্তিগত তথ্য ও সুবিধার জনগণের কাছে যত তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেয়া যাবে- এর সুফল তত বেশি পাওয়া যাবে। কারণ, এখনও বাংলাদেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী অনলাইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ঈীঙ’ং লিডারশিপ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তারা। বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিও সেলিম আরিফ হোসাইন, এসিআই লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আরিফ দৌলা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় ডিজিটাল বিজনেস আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে। আগামীতে ই-কমার্স প্রতিনিধিত্ব করবে। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে অবশ্যই নতুন এবং সহজ টেকনোলজি গ্রহণ করতে হবে। তবে বাংলাদেশে এখনও ব্যাংক খাত ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে ধীরগতি অবলম্বন করছে। তবে অনেক ব্যাংকে কিন্তু অনলাইন সার্ভিস শুরু করেছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য সরকার এবং ব্যাংকগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এর কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, যখন বিকাশ শুরু হয় তখন আমরা ভেবেছিলাম স্বল্প শিক্ষিত লোক এবং অল্প আয়ের লোকজন এটি গ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই আমরা বলতে পারি ব্যাংকিং সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের শুরু হয়ে গেছে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক সফটওয়্যার আছে কিন্তু সেসব সফটওয়্যার পূর্ণাঙ্গ নয়। এমনকি কোম্পানিগুলো সেই সফটওয়্যার দিয়ে কি কাজ করতে চায় সে সম্পর্কেও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তেমন ওয়াকিবহাল নয়। এজন্য দেশের চাইতে বিদেশি সফটওয়্যারের চাহিদা বেশি। তাই সফটওয়্যার ডেভলপার ও কাস্টমারদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে ।