পূর্বধলা প্রতিনিধি
মেধার স্বীকৃতি স্বরুপ প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাবলেট কম্পিউটার (ট্যাব) থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পূর্বধলা জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী মামুন নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই ট্যাব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের ছেলে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পিয়নের ছেলে ও সাংবাদিকের মেয়েসহ সমাজের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের সন্তানদের মাঝে বিতরণ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখান অফিসের উদ্যোগে জনশুমারী ও গৃহগননা-২০২১ প্রকল্প হতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে উপজেলার ৩২টি প্রতিষ্ঠানে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী তিন জন করে ১৯৮টি ট্যাব বিতরণ করার কথা থাকলেও পূর্বধলা জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নিয়ম মানা হয়নি।
গত রবিবার পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান প্রিন্সের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে এ ট্যাব তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্বধলা জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র ও ছাত্রীারা তা পায়নি। বিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী আছিয়া আলম, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী মোঃ সাদিক ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী নাফিজা আক্তার মিথি জানান, নিয়ম অনুযায়ী এই ট্যাব আমরা পাওয়ার কথা কিন্তু ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মেধার স্বাক্ষর রেখেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। শিক্ষার্থী নাফিজা আক্তার মিথির বাবা মোঃ হালিম বিশ্বাস জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমাদের সন্তানদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। তাই এ ঘটনায় তিনি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আলম জানান, তিনি উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের জানিয়েছেন ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী তিনজন করে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য। প্রতিষ্ঠান থেকে যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তাদের মাঝেই ট্যাব বিতরন করা হয়েছে। পূর্বধলা জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী মামুন সাংবাদিকদের জানান, পরিপত্রটি আমি খেয়াল করিনি। আমার ভূল হয়েছে। ইউএনও স্যার বলেছেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিতরনকৃত ট্যাবগুলি ফিরিয়ে আনতে। পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স সাংবাদিকদের জানান অভিযোগটি পেয়েছি এবং ঘটনার সত্যতাও মিলেছে। মন্ত্রানালয়ের চিঠির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তাকে বলা হয়েছে ট্যাবগুলি ফিরিয়ে আনতে।