পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : পূর্বধলায় একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের তিন শিশু ছাত্রী যৌন হররানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেনের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে।
সোমবার ৬ জুন দুপুরে উপজেলার ফাজিলপুর বাজার সংলগ্ন রাবিয়া মাহমুদ মডেল স্কুল এর পরিচালকের এ কে এম আনিসুর রহমান কালাম (৪৫) এর বিরুদ্ধে। তার স্কুলের ২য়, ৩য়, ও ৫ শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১০) পরিচালক কালামের নিকট আত্নীয় এবং সে কালামের বাড়িতে থাকত। এই সুযোগে রাতের বেলায় বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করত বলে ভুক্তভোগী শিশুটি জানায়।
ভ’ক্তভোগী শিশু ও শিশুটির নানা -নানী অভিযোগ করে বলেন স্কুল চলাকালীন সময় সকালে ও বিকালে স্কুল ছুটির পর কৌশলে ডেকে নিয়ে স্কুলের ভিতর যৌন হযরানির চেষ্টা করত। এ ধরনের ঘটনার পর ছাত্রীরা স্কুলে যেতে চাইত না। অভিভাকরা স্কুলে না জাওয়ার কারন খুঁজতে গেলে তাদের উপর বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেন শিশুরা । তাদের মুখে যৌন নির্যাতনের বর্ণনা শুনে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনতা ও অভিভাবকরা পরিচালক কালামকে আটক করে। পরে জুলহাস ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বিচার সালিশের মাধ্যমে মিমাংশার কথা বলে কালামকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে। পরে স্থানীয় মেম্বার হাবিবুর রহমান মেম্বার কুদরত আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার ও স্থানীয় একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশ বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। ইতি মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি পর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সালিশ বৈঠকটি আর হয়নি।
শিশুদের যৌন নির্যাতনের খবরটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাটি জানার পরও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যরা কেই কোন আইনগত ব্যবস্থা বা আইনগত কোন সহায়তা না করায় কালাম আত্নগোপনে চলে যায়।
এ ব্যাপারে খলিশাউর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমলকৃষ্ণ সরকার জানান তিনি একটি বিয়েতে গিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন বলে জানান। তবে ঘটনাটির সত্যতাও তিনি স্বীকার করেন। পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান যার ঘটনা তারাই পুলিশকে জানাবেন। আমার জাানোর প্রয়োজন নেই।
অপর একটি সুত্র জানায় রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার, মেম্বারগণ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে ঘটনাটি মিশাংসার জন্য ইউপি কার্যালয়ে মিমাংশার চেষ্টা করেন। কিন্তু যৌন নির্যাতনের হুতা কালাম না আসায় তা পন্ড হয়ে যায়।
এ ধরনের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোপের সৃষ্টি হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। গতকাল রাতে এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।