নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন সৎ নির্লোভ দেশপ্রেমিক ব্যক্তি।
গতকাল ৯ মে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, গজারিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, মোঃ মনিরুল হক মিঠু, কামরুল হাসান ফরায়েজী, ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, শহীদুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জন করেন। পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া ইতালীর ট্রিয়েষ্টস্থ আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থ কেন্দ্রে ৬ মাস গবেষণা কর্ম শেষে ১৯৭৪ সালের ১ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ অক্টোবর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া ভারতীয় আণবিক শক্তি কমিশনের অধীনে আণবিক খনিজ বিভাগে দিল্লীস্থ কেন্দ্রে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া তার সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ড. এম এ ওয়াজেদ ছিলেন একজন সৎ নির্লোভ দেশপ্রেমিক ব্যক্তি। তিনি ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ, নির্মোহ, নিরহংকার ও বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি।