পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর পত্নীতলার ঘোষনগর ইউনিয়নে আটককৃত স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের গ্রামের বাড়ি কমলাবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ রায়হান ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মাহমুদা আক্তার বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ আমরা আগুনের শিখা দেখতে পাই। এরপর গ্রামবাসী ছুটে এসে দেখি বাড়িতে আগুন জ্বলছে। বাড়ির সামনে গাড়ি রাখার বড় গ্যারেজ ছিল সেখানে ৫ থেকে ৬টি মোটরসাইকেল ছিল। এছাড়া বাড়ির অন্য আসবাপত্র এরমধ্যে আগুনে পুড়ে গেছে। বর্তমানে এই গ্রামে কোনো পুরুষ মানুষ নেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মামলার কারণে। আমরা মহিলা মানুষ কিভাবে এই আগুন নেভাবো। তারপরও অনেক চেষ্টা করে কিছুটা আগুন নেভানো গেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভাতে চোষ্টা করেছে। কিন্তু এরমধ্যে বাড়ির অনেক কিছু পুড়ে গেছে।’ চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের মেয়ে জামাই আতিকুর রহমান রাসেল বলেন, ‘আমার শাশুড়ি এবং শ্বশুর দুজনই এখন জেলা কারাগারে বন্দী। আমি আর আমার স্ত্রী দু’জন নওগাঁ শহরে থাকি, এজন্য বাড়িতে কেউ নেই। এই সুযোগে গত শুক্রবার রাতে কে বা কারা আমার শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। এখন আগুন নেভানোর মানুষ ওই গ্রামে নেই। মামলার ভয়ে অধিকাংশ পুরুষ মানুষ গ্রাম থেকে পালিয়ে আছে। অনেক কিছু পুড়ে যাওয়ার পরে ফায়ার ফার্ভিসের লোকেরা এসেছে।’ পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ রায়হান ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা এসে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বাড়ির অনেক আসবাসপত্র পুড়ে গেছে। তবে কিভাবে আগুন লাগলো বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।’ পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) শামসুল আলম বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।’ উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বুধবার রাতে ফারহানা পারভীন তার স্বামী মতিউর রহমানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফারজানাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও আড়াই হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘোষনগর ইউনিয়নসহ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন এর ফলাফল স্থগিত করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।