শ্যমল, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
হিমালয়ের হিমবাতাসের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ঘনকুয়াশার কারনে শুক্রবার থেকে সূর্যের দেখা নেই। ফলে নিম ্নআয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছে চরম বিপাকে। শনিবার দুপুরে জেলার ৫ উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, কনকনে শীতে বড় অসহায়ত্বের মাঝে জীবন যাপন করছে খেটে খাওয়া মানুষরা। এছাড়া ও শীত থেকে একটু খানি রক্ষা পাওয়ার আশায় অনেকেই বাড়ি কিংবা ফুটপাতে খর-খুটা জ্বালিয়ে সময় পার করতেছেন। এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় পঞ্চ গড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, আগামীতে তাপমাত্রা আরো নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা যায়। আকাশে সূর্য দেখানা দেয়ায় হিমেল বাতাস বইছে ফলে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা অনেকেই তবে সাধারন মানুষরা যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে কাজ করেন তারা এই কনকনে শীতে পড়েছে চরম দূর্ভোগে। এ বিষয়ে জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে রভ্যান চালক আঃ রহিম জানান, ‘সকাল থেকে বসে আছি অথচ ২/১জন যাত্রী, শীতের কারনে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেনা ফলে আমরা বেকার সময় পার করতেছি’।একই দূর্ভোগের কথা জানান, জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর পাথর উত্তোলন শ্রমিক আবদুর রহমান, তিনি জানান, গতকাল থেকে আকাশে নেই কোন সূর্যের আলো ফলে কনকনে শীতে নদীর ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে না পারায় আমরা গতকাল থেকে বেকারসময় পার করতেছি’।এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র জেলার ৫টি উপজেলায় বিতরণ করা হলে ও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে জানান সচেতন মহল। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হিদুল ইসলাম জানান,’ গতকাল থেকে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। হিমালয়ের হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশার কারনে দিনদিন শীতের তীব্রতা বেড়েছে’।