হাছানুর রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে ভাগিনার লাঠির আঘাতে মামি গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলার শিমুলতলী মোড়ের পূর্ব পার্শ্বে বাঁশঝাড়ের কাছে এই মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিমুলতলী মোড় দিয়ে মোঃ বেলাল শাহ্ সাইকেলে করে আসছিল হঠাৎ করে কোথা থেকে জানি মামাতে ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন এসে শার্টের কলার ধরে তাকে সাইকেল থেকে ফেলে দেয় এবং মোঃ আসাদ আলী, মোঃ কাল্টু মামুদ ও মোঃ আরিফ এসে তাকে এলোপাথারি মারতে শুরু করে। মারার কথা শুনে বেলালের বাবা-মা মোঃ শাহ্ আলম ও বেলী বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলালকে মারার কারণ জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে মোঃ কাল্টু মামুদ বেলালের মায়ের চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাথারি মারতে শুরু করে। অপরদিকে মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘাস নিড়ানি যন্ত্র দিয়ে বেলার পিতা শাহ আলমকে বুকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। থানার এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, এসময় মোঃ বেলাল হোসেন নীলফামারী সোনালী ব্যাংক থেকে তেরো হাজার সাতশত টাকা উঠিয়ে বাড়ী আসছিল। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ আসাদ আলী, মোঃ কাল্টু মামুদ ও মোঃ আরিফ সবাই মিলে তাদেরকে সুযোগ বুঝে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে শুরু করে এবং তার পকেটে থাকা ১৩৭০০ টাকা জোর করে বের করে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী মশিউর রহমান শাহ্, লিমা বেগম, ফুলো বেগম, আব্দুস সবুর শাহ্, জুয়েল আলী শাহ্ সহ অন্যন্যরা মিলে বেলাল শাহ্ ও তার বাবা-মা কে মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ আসাদ আলী, মোঃ কাল্টু মামুদ ও মোঃ আরিফ এর হাত থেকে রক্ষা করে। এবং তারা বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলে আজকে প্রাণে বেঁচে গেলি সুযোগ পেলে তোদের মেরে লাশ গুম করে দিবো হুমকি দেয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এমতাবস্থায় মোঃ বেলাল শাহ্ ও তার বাবা মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখলে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম মোমিন জানায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো জানা যায়, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ আসাদ আলী তার শিমুলতলীর সারের দোকানের মালপত্র বাহিরে ফেলে দিয়ে বেলাল ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তারাও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।