নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষা আবাদ হচ্ছে ৪০৫০ হেক্টর এবং ধনিয়া আবাদ হয়েছে ৪৬৫ হেক্টর জমিতে। এ সরিষা এবং ধনিয়া ফুলের নির্যাস থেকে উৎপাদিত হচ্ছে মধু। সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণ করে সেই মধু বিক্রি করছেন উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের যুবক আনিস। নিজের বেকারত্ব ঘুচিয়ে করবেন সংসারকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। মধুতে আছে ঔষধি গুণ। তাই সবসময় এর চাহিদা থাকে। তিনি সরিষা ক্ষেতেই মৌমাছির মৌবক্সের মাধ্যমে মধু আহরণ করেন। আনিসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিষয়ে বেসরকারি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। এখন তিনি শুধু সরিষা ও ধনিয়া ফুল থেকেই নয়, আমের ফুল, লিচুর ফুলসহ বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কাইতলা (দ.) ইউনিয়ন, নাটঘর ইউনিয়ন, রছুল্লাবাদ ইউনিয়নে সরিষার মাঠে ও ধনিয়ার জমির পাশে সারিবদ্ধভাবে মৌবক্স বসানো রয়েছে।
রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘড়া গ্রামের কৃষক ফয়সাল আব্বাস জানান, এই বছর সরকারিভাবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৫০টি অত্যাধুনিক মানের মৌবক্স এবং কলোনি দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো মৌচাষ শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ কেজি মধু সংগ্রহ করে বিক্রয় ও করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি বাক্স থেকে মাসে ২ বার মধু সংগ্রহ করা যায়। নবীনগর উপজেলায় এখন বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় ২৫০টি মৌবক্স বসেছে। যেগুলো থেকে উৎপাদিত হবে কমপক্ষে ১০ টন মধু, যার বাজারমূল্য ৩৫ লক্ষাধিক টাকা। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, মৌমাছি কেবল ফুলের নির্যাস থেকে মধু সংগ্রহ করে না, সাথে সাথে পরাগায়নে সহায়তা করে। ফলে সরিষাসহ সকল ফসলের ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি মধু থেকে উদ্যোক্তাদের বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে।