নিজস্ব প্রতিবেদক : নেত্রকোনাস্থ দুর্গাপুর পৌরএলাকা মুজিবনগর আবাসনে দুলাভাই কতৃক শালিকা অন্তস্বত্তা হওয়ার অভিযোগে বুধবার মামলা করেছে ধর্ষিতা ধর্ষক দুলাভাই সেলিম হাজতে।
সরেজমিন ও পুলিশ সূত্রে জানাযায় পৌরএলাকা ৫নং ওয়ার্ড মুজিবনগর আবাসনে বসবাসরত মো. হাবিব মিয়ার কন্যা আফরোজা খাতুন(২৫)স্থানীয় রামবাড়ীর শফিকুল ইসলামের নিকট অনুমান ৭বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের বছরখানেক পর তাদের মধ্যে আরাফাত নামের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়,তার বয়স বর্তমানে সারে ৬বছর+। সন্তান জন্মের পরথেকেই আফরোজার স্বামী মস্ত্রিস্ক বিকৃতজনিত কারণে নিরুদ্ধেশ হয়েযায় স্ত্রী-সন্তানেরও খোঁজ খবর নেয়না সে আফরোজা তার পিত্রালয়েই থাকে। এই সুযোগে আফরোজার বোন জামাই একই মহল¬ার মো. সেলিম মিয়া(৩৫) শশুরালয়ে আসা-যাওয়ার সুবাদে আফরোজাকে ফুসলিয়ে তার সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়,এক পর্যায়ে আফরোজা অন্তস্বত্তা হয়েপড়ে। প্রথম অবস্থায় বিষয়টি গোপন রাখা হলেও পরে তা প্রকাশ হয়েযায়। ইতোমধ্যে আফরোজা’কে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তার বাবা হাবিব মিয়া ও স্থানীয় কাউন্সিলর। এতে আফরোজা সারে ৫ মাসের অন্তস্বত্তা বলে রিপোর্ট দিয়েছেন চিকিৎসক। এ বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় দরবারে বসেন স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমানসহ অনেকে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ঘটনা সত্য,প্রথম দফায় বৈঠকে বসেছিলাম আফরোজা খাতুন বলেছেন তার দুলাভাই তার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে অন্য কেউ নয়, তাদেরকে সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার দ্বিতীয় দরবার হওয়ার কথাছিল এতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ঐদিনই ২২ জানুয়ারি পুলিশি হস্তক্ষেপে সেলিম মিয়াকে আসামি করে মামলা করেছেন আফরোজা। ঘটনার কথা শিকার করে আফরোজা প্রতিবেদককে বলেন আমি আমার গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চাই। আফরোজার বাবা হাবিব আক্ষেপকরে বলেন একুলও আমার সেইকুলও আমার আমি কোনো কুলে যাই ? নবাগত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) দুর্গাপুর-কলমাকান্দা সার্কেল মাহমুদা শারমিন নেলী বলেছেন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনার বিষয় জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। মামলার আইও এসআই মজিবুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হই এবং এএসপি সার্কেল ও ওসি মিজান স্যারের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। ভিকটিমকে বাদী করে মামলা রুজু করা হয়েছে,পাশাপশি বিবাদী সেলিম মিয়াকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।