নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো কি না, তা পর্যবেক্ষণের পরপরই তারেক রহমান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
মির্জা ফখরুলের ভাষায়, “পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।”
দিনের আগের দিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, তারেক রহমান দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য নেই। তিনি ট্রাভেল পাসও চাননি।
উপদেষ্টা বলেন, “চাইলেই তা ইস্যু করা হবে, সরকার তাকে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করবে।” খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়েও মত দেন তিনি। জানান, পরিবারের সিদ্ধান্ত হলে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
খালেদা জিয়ার আইনগত ও রাজনৈতিক পটভূমির প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। করোনাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান, এরপর পর্যায়ক্রমে সেই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর মুক্তি পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান, সেখানে ১১৭ দিন থাকার পর ৬ মে দেশে ফেরেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে ২৩ নভেম্বর আবার তাকে ভর্তি করা হয়।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তিনি এখনও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি তাই এখন দুই দিকেই দৃষ্টি রেখে এগোচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত।



































































