তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের নেই কোনো অনুমোদন, নেই কোনো রেজিস্ট্রার চিকিৎসক, নেই কোনো অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান। গ্রাম্য হাতুড়ে (ভুয়া) চিকিৎসক দিয়ে চলছে। এতে রোগীরা আর্থিক ও মানসিকভাবে চরম হয়রানির শিকার ও প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে। অথচ প্রশাসন রহস্যজনক কারণে এসব দেখেও না দেখার অভিনয়ে এড়িয়ে চলেছে। উপজেলার কলমা ইউপির দরগাডাঙ্গা বাজারে কোনো ডিগ্রী বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাহাবুর রহমান নামে কথিত (ভুয়া) এক দন্ত চিকিৎসক রমরমা বাণিজ্য করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, সেবা দন্ত চিকিৎসার আড়ালে সেখানে ইয়াবার ব্যবসা করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি গ্রামের কৃষক, দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার সেজে বিভিন্ন ভুয়া ডিগ্রি দেখিয়ে সাইনবোর্ড, ব্যানার ও ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে দাঁতের চিকিৎসার নামে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কোনো বৈধ কাগজপত্র ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিনা অনুমতিতে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তিনি ব্যবসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। কাগজপত্র ছাড়াই চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। ডাক্তারের নামে চিকিৎসাপত্র দিলেও তাদের কোনো কাগজপত্রের বৈধতা নেই। এই ভুয়া চিকিৎসক রোগীর দাঁতের স্কেলিং, দাঁতের ফিলিং, দাঁত তোলা, দাঁত বাঁধানোসহ দাঁতের নানা রোগের চিকিৎসার নামে হয়রানি করে টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। তার কাছে এসে রোগীরা না বুঝে চিকিৎসা নিয়ে পরে বিপদে পড়ছেন। এলাকাবাসী কথিত সেবা ডেন্টাল ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দাবী করেছেন। এ বিষয়ে সেবা ডেন্টালের পরিচালক মাহাবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার প্রাথমিক চিকিৎসার সার্টিফিকেট আছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) বার্নাবাস হাসদা বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।