শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের একমাত্র সড়কে প্রতিদিন প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। পাশাপাশি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী পরিবহন চলে হাজার হাজার। পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। কাজিরহাট ও কোটাপাড়া ব্রিজসহ পুরো ৩০ কিলোমিটার সড়কই ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কে পূর্বাঞ্চলের সিলেট, চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা ও মোংলা বন্দরসহ ২২ জেলার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কের শরীয়তপুর অংশে ৩৫ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার বেহাল অবস্থা। ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন চলাচলের জন্য শরীয়তপুরে কোন সড়ক নাই। নড়িয়া উপজেলা সদর থেকে জাজিরা উপজেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র ব্রিজটি প্রায় ১০ বছর ধরে অচল। সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছে শরীয়তপুর জেলার ১৪ লক্ষ মানুষ। সাধারণ মানুষের সাথে এমপি-মন্ত্রীদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। ভোগান্তি নিরসনে তারা কাজ করে চলেছেন বলে দাবী করেছেন।
শরীয়তপুর জেলা শহরের সাথে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র কোটাপাড়া ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। সেই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ভারি যানবাহন। ব্রিজে দূর্ঘটনা এড়াতে দুই পাশে গ্রাম পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। একইসাথে একাধিক যানবাহন ব্রিজে উঠতে না পারে তা নিয়ন্ত্রণ করে গ্রাম পুলিশরা। নড়িয়া-জাজিরা সড়কের একমাত্র সেতু দিয়ে পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন উপায় নাই। শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। কোটাপাড়া, কাজিরহাট নদীর ব্রিজের কাজ ২ বছর আগে শুরু করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত একটি পিলারও দৃশ্যমান হয়নি। নড়িয়া-জাজিরার যোগাযোগের সেতুন নির্মাণ কাজ শুরুর ৬ বছর পার হলেও এখনও দৃশ্যমান কিছুই দেখা যায়নি। শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবী প্রতিটি ব্রিজ ও সড়কে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, শরীয়তপুরের তিন এমপি মিলে সড়ক উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। সড়কে সাধারণ মানুষের সাথে তাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে।