প্রকল্পের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
তোফাজ্জল হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
জেলা প্রশাসক নরসিংদী মহোদয়ের সম্মেলন কক্ষে গত ১৬ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ২জন প্রকল্প পরিচালক জনাব তুষার কান্তি সাহা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ, সিলেট জোন, সিলেট এবং রিয়াজ আহম্মেদ জাবের, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ , টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স ফর সাবরিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটি-ওও, ঢাকা। জনাব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব), কিশোরগঞ্জ, জনাব মোহাম্মদ সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব), নারায়ণগঞ্জ, জনাব কমল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব), নরসিংদী, জনাব মোঃ ইলিয়াস মেহেদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব), ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জনাব মোফাজ্জল হায়দার, নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, নরসিংদী, জনাব মোঃ রাশেদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, কিশোরগঞ্জ, জনাব ফয়েজ আহম্মদ, নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জনাব মোঃ পারভেজ মল্লিক, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, নরসিংদী, জনাব মোঃ নূর-এ-আলম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জ, জনাব এইচ.এম. খোদাদাদ হোসেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, কিশোরগঞ্জ সহ সুশীল সমাজ, জনসাধারণ, জন প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। তিনি সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্তে দিক নির্দেশনা মূলক মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি বক্ত্যব্যে জানান যে এটি একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পটি পৃথক সার্ভিস লেন সহ চার লেনে উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর করার বিষয়ে আজকের সভা আহবান করা হয়েছে। সভায় প্রত্যেক জেলার জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ রক্ষাপূর্বক ভূমি অধিগ্রহণ কাজে অগ্রসর হওয়ার জন্য চার জেলার নির্বাহী প্রকৗশলীগণকে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ, কিশোরগঞ্জ ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার মহাসড়কের ভৈরব এলাকার প্রস্তাব দাখিল করেছেন মর্মে বক্তব্যে জানান। একই সাথে অন্যান্য জেলার অধিগ্রহণের প্রস্তাব দ্রুত দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের মালিকানার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সিসিডিবি-ডিএসটিপি কে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং তারা যথাসময়ে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মালিকানার তথ্য সংগ্রহ কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। এ প্রেক্ষিতে জনাব সেলিম রেজা, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), নারায়ণগঞ্জ বক্তব্যে জানান যে, এটা জেলা প্রশাসকের দাপ্তরিক কাজ। তিনি আরো জানান, মালিকানার তথ্য সংগ্রহণ কাজটি জেলা প্রশাসনের এখতিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের এলাইনমেন্ট নকশা ও দাগসূচী পাননি। জেলা প্রশাসন এলাইনমেন্ট নকশা এবং প্রস্তাবিত দাগসূচি পাইলে মালিকানার তথ্য সংগ্রহ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবে।
এ সংক্রান্তে সভার সম্মানিত সভাপতি বলেন যে, অধিগ্রহণ কাজটি সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের এখতিয়ারভুক্ত কাজ। প্রত্যাশি সংস্থা কর্তৃক প্রকল্পের প্রস্তাব পাওয়া গেলে মালিকানার তথ্য ও অন্যান্য কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এবং প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবিত ভূমিতে কোন প্রকার অবৈধ কাজ কর্ম করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অবকাঠামো/স্থাপনা নির্মাণ করে তা অপসারন করা হবে ও যৌথ তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হবে না এবং ভূমি অধিগ্রহণে অবৈধভাবে নির্মিত অবকাঠামোর মূল্যায়ন করা হবে না। তিনি আন্তরিকতার সাথে সড়ক বিভাগকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।