চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ক’দিন পর আসছে পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সময় খুব কাছাকাছি এসে গেছে। ঈদের দিনে আনন্দের মুহুর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে কে না চায়? ঈদের দিনে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি। আত্মীয়-স্বজনদের বাসা-বাড়িতে বেড়ানো। তবে আনন্দ গুলো পুরনো। এরপরও মানুষ বিনোদনমুখী। একটু হলেও মনে আনন্দ পেতে মানুষ ঘুরতে পছন্দ করে।
প্রত্যেক বছরের মতো এবারেও নবরূপে সাজানো হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ককে। পার্কে এবার দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেবে জেব্রার ঘরে আসা নতুন অতিথি।
গত ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জন্ম নেয়া জেব্রার শাবক। বাবা-মাসহ জেব্রা দলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে পার্কের বেষ্টনি এলাকায়। বাবা-মাকে এক মুহুর্ত্বের জন্যও ছাড়তে রাজি না সদ্যজাত এই বাচ্চা। এর আগে গত বছরের জুন মাসে জন্ম নেয়া ‘বিজয়’ নামের আরেক জেব্রার শাবক।
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৭ মে বেনাপোল বর্ডার থেকে ৬টি জেব্রা জব্দ করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩টি পুরুষ এবং ৩টি মহিলা জেব্রা ছিলো। পরে এই ছয়টি জেব্রা গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে রাখা হয়। এর ১ মাস পর জেব্রা ৬টি কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
১১ মার্চ জন্ম নেয় সদ্যজাত জেব্রার বাচ্চা। বেশ কিছুদিন পার্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠায় গত ২ এপ্রিল তাকে জেব্রার বেষ্টনিতে দেয়া হয়েছে। এখন ছোট-বড় মিলে ৬টি জেব্রা পার্কে রয়েছে।
এই ৬টি জেব্রার থেকে ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই মাসে এবং একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ৩টি জেব্রা মারা যায়। এরপর ৩টি জেব্রা অবশিষ্ট থাকে। পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে আরও ১টি বাচ্চা জন্ম নেয়।
জেব্রা মূলত দলগত প্রাণী। এরা সাধারণত একতাবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। এদের প্রতিদিন দুই বেলা করে ভুট্টা, ভুষি, গাজর খেতে দেয়া হয়। এছাড়াও সারাদিন নিজেদের বেষ্টনিতে ঘুরে ঘুরে ঘাসও খাচ্ছে। যাতে তারা কোন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেজন্য প্রতিদিন খাবার দেয়ার স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।