ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা : খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ৩ দিনের ভারি বর্ষণের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছ বের হয়ে গেছে, সবজি তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে নেই কোন সুব্যবস্থা। পাউবো বলছে, গবেষণা চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফ্লুইসগেটগুলোর কপাট বন্ধ রাখা ও বিল শিংগা খর্নিয়া সুইজ গেট ও শোলমারি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি সরবরাহ না হওয়া এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। ডুমুরিয়া উপজেলার চহেড়া, শিংগা, শৈলগাতিয়া, টিপনা, বালিয়াখালী, উখড়া, মেছাঘনা, হাসানপুর মিকশিমিয়, খর্নিয়া রানাই, রংপুর, রঘুনাথ কৃষ্ণনগর, রামকৃষ্ণপুর গজেন্দ্রপুর, শাহাপুর, দেডুলীসহ গুটুদিয়া ইউনিয়নের লতা, খামারবাড়ি, আড়ংঘাটা, পশ্চিম বিলপাবলা, বিলপাবলা, কুলটি, পঞ্চ, মির্জাপুর, খড়িয়াসহ প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এই জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে বলে শঙ্কিত জীবনযাপন করছে। এসব এলাকায় মানুষের বসতঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার একর আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে এসব এলাকায় আমন ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দূর্ভোগ। উৎপাদন কমে গিয়েছে সবজি জাতীয় কাঁচামালের। নানামুখি সংকটের আশঙ্কায় ভুগছে এ অঞ্চলের হাজারো শ্রমজীবী মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে এ এলাকায় বেড়ে গিয়েছে নানান পানিবাহিত রোগ। এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে। এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চেয়ে এ অঞ্চলের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এসব এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান ও সবজি চাষ ব্যাহত হচ্ছে। পানি পঁচে ঘেরের মাছ ও শাক-সবজির গাছ মারা যাচ্ছে। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরী ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এ মৌসুমে ৯ হেক্টর জমিতে আমন ও সবজি জাতীয় কাঁচামালের উৎপাদন কমেছে এবং কয়েক হেক্টর আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হতে পারে।
এ বিষয়ে পাউবো বিভাগ-১ খুলনা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের জরুরি প্রকল্পের খনন কাজ চলমান রয়েছে। যেহেতু নদী ভরাট হয়ে গিয়েছে সেহেতু স্থায়ী সমাধান কি হতে পারে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।