থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের থানচি ও আলিকদম উপজেলা সীমান্তে ডিম পাহাড়ের গভীর খাদে ২০০ ফুট নিচে একটি পাজেরো সরকারী গাড়ি সড়ক দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে। থানচি আলিকদম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের আলিকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত গাড়িচালক নূর নবী (৪২) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেকে স্থানান্তর করা হয়। আহতরা হলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালরক (অর্থ) মোঃ নিয়াজুর রহমান (৫২), পরিচালকের সহধর্মিণী জেনেফা রহমান নাসরিন (৪২), ছেলে পার্থিব রহমান (২১), মেয়ে ফাইরুজ নাফিয়া (২০) ও গাড়িচালক নূর নবী (৪২)।
আলিকদম ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন মাস্টার আবদুর কাদের, থানচি ষ্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ ইসমাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে আমাদের জানায়, আলিকদম থানচি সড়কের ২১ কিলোমিটার ডিম পাহাড় থেকে গভীর খাদে প্রায় ২০০ ফুট নিচে একটি সরকারী গাড়ি পাজেরো পড়ে গেছে। খবর পেয়ে ছুটে যাই। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে আলিকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
আলিকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানচি উপজেলায় সরকারীভাবে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষ করে একই অনুষ্ঠান আমাদের আলিকদম উপজেলা প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্য থানচি উপজেলা থেকে গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-১৫৫৭ সকাল সাড়ে ৮টায় রওনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (অর্থ) সপরিবার নিয়ে। সকাল সাড়ে ৯টায় ডিম পাহাড়ে আলিকদম থানচি উপজেলা সীমান্তে ২১ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছলে স্যারের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত হয়। স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে আমাদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে দুই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে স্যারসহ পরিবারের সদস্যদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্যার ও পরিবারের সদস্যদের কক্সবাজারে পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু স্যারের গাড়িচালক গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আলিকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সরকার বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিম পাহাড় থেকে প্রায় ২০০ ফুট গভীর নিচে পড়ে যায়। সড়ক দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে পরিবারের সকলে আহত হয়। কিন্তু গাড়ির চালক ছাড়া পরিচালকের পরিবারের কেউ গুরুতর আহত হয়নি।