এম এম আই লিটন, নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় ধর্ষণ মামলার এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কাঁকড়াবাজার এলাকার জামিনুর রহমানের মেয়ে ও কাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ইয়াছমিন আক্তার (১৫) কে গত (২৫ জুন) বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে দক্ষিণ কাঁকড়া এলাকার আবুল কাসেমের বিবাহিত ছেলে ও ৩ সন্তানের জনক মোঃ শাহিন (৩৫), খালিশা চাপানী গ্রামের মোসলে মামুদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), দক্ষিণ ঝুনাগাছচাপানী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মিলন ইসলাম (৩২), খালিশাচাপানী (বাঘের পুল) গ্রামের মৃত ছপি উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও উত্তর ঝুনাগাছচাপানী গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২) ইয়াছমিনকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেল তুলে অপহরণ করে নিয়ে উপজেলা সদরের আদর্শ পাড়া (তেলিপাড়া) গ্রামের আপ্তার আলীর ছেলে সহিদুল ইসলামের বাড়ীতে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করেন ইয়াছমিনের পিতা জামিনুর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াছমিনের পিতা জামিনুর রহমান মেয়ে ইয়াছমিন ও প্রধান অপহরণকারীর অবস্থান জানতে পেরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গত ২৬ জুন উপজেলা সদরের আদর্শ পাড়া (তেলিপাড়া) গ্রামের সহিদুল ইসলামের বাড়ী থেকে ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে। এ সময় মূল অপহরণকারী শাহিন পালিয়ে যায়। গত ১ জুলাই ইয়াছমিনের পিতা জামিনুর রহমান তার মেয়েকে অপহরণসহ ধর্ষণ করার অভিযোগে জড়িত ৬ জনকে আসামী করে ডিমলা থানার মামলা নং -১, তারিখ ০১/০৭/২০২০ইং, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-০৩) এর ৭/৯(১)৩০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই মোঃ আতিকুর রহমান গত শুক্রবার দুপুরে খালিশাচাপানী ইউনিয়নের বাঘেরপুল এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী মোঃ শাহিনকে গ্রেফতার করেন। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।