রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
বাংলাদেশে বিলুপ্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী নীলগাই। একসময় রংপুর/দিনাজপুর এলাকার দিকে দেখা গেলেও বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে। ভারতের অধিকাংশ প্রদেশ ও পাকিস্তান, নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় এর দেখা মেলে। গত শুক্রবার বিকেল ৪টায় ভারত থেকে আসা ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা মিনাপুর গ্রামে হঠাৎ করেই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি মাটিয়া ধূসর রঙের পুরুষ নীলগাই দেখা যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে হরিপুর থানা পুলিশের এসআই আবু ইসাসহ আশপাশের লোকজন নীলগাইটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। নীলগাই আটক হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় কারিগাও বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়। পরে আটক নীলগাইটিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মিনাপুর এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল জলিল বলেন, নীলগাইটিকে ধরার জন্য এলাকার মানুষ ও পুলিশ তৎপরতা চালায়। কিন্তু নীলগাইটি দ্রুতগতিতে বিভিন্নভাবে বাঁচার চেষ্টা করে। এতে নীলগাইটি আঘাত পেয়ে জখম হয়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করার পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। নীলগাইটি নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্নভাবে আঘাত পেয়ে মারাত্নকভাবে জখম হয়। কারিগাও বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার কফিল উদ্দিন বলেন, আমরা নীলগাইটির খবর পেয়ে সেখানে যাই। একটি পুরুষ নীলগাই সীমানার ৩৫৩নং পিলারের ২ এস এলাকা দিয়ে কাঁটাতার পার হয়ে উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ ও এলাকাবাসী আটক করে। নীলগাইটি যখন আমরা হাতে পেলাম তখন সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও জখম ছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যাই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীলগাইটি মারা যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্যারেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো: খোরশেদ আলম বলেন, জখম হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নীলগাইটি মারা যায়। হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় নীলগাইটি উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে কারিগাও বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।