মাদারীপুর প্রতিনিধি
টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়ে রেকর্ড গড়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান হাওলাদার। তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয় পেয়ে এ রেকর্ড করেন তিনি। বিগত ৩৪ বছর ধরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদ দখল করে আছেন তিনি। গত রোববার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে টেবিল ফ্যান প্রতীকে ২ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো. ছালাম হাওলাদার। অটোরিকশা প্রতীকে ২ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ছয়বার চেয়ারম্যান হয়ে জনগনের সেবা করে জনমনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। জেলা সদর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে শিরখাড়া এলাকাটি চরমপন্থীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত ছিল। সে ১৯৮৮ সালে প্রথম চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজে হাত দেন তিনি। এখন সে এলাকাটি প্রায় চরমপন্থী শূন্যই বলা চলে। জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের দ্বারাই তিনি জনগণের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তাই এলাকার জনগণ তাকে বারবার ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন চেয়ারম্যান হিসেবে। স্থানীয় সোহেল হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চাই। কিছু লোক প্রতিবছরই তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে সমর্থন করে। সাতবার নির্বাচনে মজিবুুরই চেয়ারম্যান হয়। যদি সে এমনই থাকে তাহলে তাকে আমরা আমরণ চেয়ারম্যান হিসেবে চাই। তার নিজের ব্যবসা আছে, টাকা আছে। ইউনিয়নে সে নির্বাচন করে শুধু জনগণের জন্য।’চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ সালে প্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। প্রায় ৩৪ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা করে আসছি। এবারও ইউনিয়নবাসী ভালোবেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। এলাকার জনগণ আমাকে অনেক সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছেন। ভোটারদের এই সম্মান ও মর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সেবায় মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। একসময় এ এলাকায় সর্বহারার আখড়া ছিল। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির সহযোগীতায় এলাকাকে সন্ত্রাস বা সর্বহারা মুক্ত করতে পেরেছি। জনগণের ভালোবাসা ছাড়া এতবার বিজয়ী হওয়া যায় না। তাুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুই তাদের ভালোবাসার মূল্য দিতে আজীবন জনগণের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
„