টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। যেখানে অসুস্থ রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে আসে সেখানে এমন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারনে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে শত শত রোগী। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের থাকার জন্য সরকারী কোয়ার্টার সংলগ্নে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে রাখায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ও পিছন জুড়েই এখন ময়লা স্তূপে পরিণত হয়েছে। সময়মতো এই ময়লা অপসারণ না করায় তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই পথচারীরা নাক চেপে ধরে পাশ দিয়ে চলাচল করছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগী ও সাধারণ পথচারীদের। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতাকে দায়ী করেছে রোগী ও পথচারীরা। নেই পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ। ভোগান্তির পাশাপাশি পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারী ও সাধারণ মানুষের। তীব্র দুর্গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ও পিছনে ময়লার স্তূপ গড়ে উঠেছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগী ও সাধারণ পথচারীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সামনে যে টিউবওয়েলটি রয়েছে তা থেকে পানি আনতে গেলে নাক চেপে ধরে রাখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় স্থানীয় জনসাধারণ ও সেবা গ্রহীতাদের দাবি, দ্রুত সময়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করা। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সামনে ওষুধের দোকানদার মিঠুন বলেন, প্রতিদিন কয়েকশত রোগী এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়। অথচ এর সামনে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানুষকে আরো ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়লাগুলো পরিষ্কার করা উচিত। বালিগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে দিনের পর দিন ময়লা ফেলে ময়লার স্তূপ করে ফেলছে, দেখার কেউ নেই। এখানে সরকারি টিউবওয়েল যেটা থেকে রোগীরা পানি খাচ্ছে তার সাথেই এমন দুর্গন্ধ। এছাড়াও পুরাতন টিনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অবহেলায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে। টিনের ঘরের খাম খুঁটি নিয়ে যাচ্ছে এলাকার কিছু অসাধু লোক। বালিগাঁও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এই বিষয়ে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন বরাবর অভিহিত করেছি। বাজারের লোকজন এখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এখান থেকে ময়লা আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মোল্লা বলেন, ময়লা ফেলতে আমিও নিষেধ করেছি। কিন্তুু বাজারের লোকজন একেক সময় ময়লা ফেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় মান্না দে জানান, সাইনবোর্ড টানিয়ে বারবার ময়লা না ফেলার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু বাজারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলেই যাচ্ছে। আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আবর্জনা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করবো।