এস আই মল্লিক(ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের মহেশপুরে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়েছে মা নাছিমা বেগম। উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের পান্তাপাড়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের মেয়ে শারমিন। ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাশ^বর্তি গ্রাম ঘুঘরি গ্রামেরমৃত সুলতান ব্যপারীর ছেলে আমির হোসেনের সাথে মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দেন। বিয়ের ক’দিন পরেই জামাই বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে। প্রথম দিকে মেয়ের সুখের কথা ভেবে তিন দফায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকাও তুলে দেন। কিন্তু যৌতুক লোভি জামাই আবারও টাকা দাবি করে। সে টাকা দিতে না পারায় মেয়ের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এরই মধ্যে চলতি বছরের ২২ ফেব্রæয়ারি জামাই বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধিন ঘরে মেয়ের গলাই ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর থেকে জামাই বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। এরপর থেকে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে সারাক্ষণ কাঁদছেন মা নাছিমা বেগম। নিহত শারমিনের মা নাছিমা বেগম জানান, আমার স্বামী এবং এক ছেলে দেশের বাইরে থাকে। একমাত্র মেয়ে শারমিন। খুব আদর ¯েœহে তাকে বড় করেছি। অনেক আশা নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরমধ্যে আমার ছেলে একটা মোটরসাইকেল কেনে। তখন জামাইও মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার চাপ দেয়। এছাড়া জমি কেনার জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় মেয়ের উপর নেমে আসে নির্যাতন। নিহত শারমিনের ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, বিয়ের ঘটনার সন্ধ্যারাতে আমর ভগ্নিপতি আমির হোসেন ফোনে খবর দেয় আমার বোন গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা রাতেই বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখি একটি ঘরের আড়াই ঝুলে আছে। কিন্তু তার দেহ মাটির সাথে এমন ভাবে লেগে ছিল যে দেখেরই অনমান করা যাচ্ছিল যে তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর পুলিশ পরের দিন সকালে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত শারমিনের স্বামী আমির হোসেন ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় তার চাচা শামছুল হকের সাথে। শামছুল হক জানান, আমার ভাইপো যদি বৌমা হত্যার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিচার হোক আমিও চাই। শারমিন হত্যার তদন্ত কর্মকর্তা মহেশপুর থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।