রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রবাহমান সরকারী খাল দখল করে এবং ফসলী জমি কেটে পুকুর খনন করলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। এদিকে পানি প্রবাহের গুরত্বপুর্ন এ খালটি ভরাট হলে জলাবদ্ধতায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে তাড়াশ-ভুইঞাগাঁতী রাস্তায় তাড়াশ সদর হতে ৩ কিলো মিটার পুর্ব দিকে ধানকুণ্ঠি ব্রীজ এলাকায় রাস্তার দক্ষিনে সরকারী খাল দখল করে ওই পুকুরটি খনন করছেন মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি নজরুল ইসলাম মুন্টু। ‘‘জাতীয় ভূমি নীতিমালা ২০০১’’ উপেক্ষা করে ফসলী জমিতে পুকুর খনন এবং প্রভাব খাটিয়ে সরকারী খাল দখল করে পুকুর খনন করলেও ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে পানি প্রবাহের ওই গুরুত্বপুর্ন সরকারী খালটি ভরাট হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই ও বর্ষা মৌসুমে ধাপ, ওয়াশীন, সেরাজপুর, কাস্তা, বেত্রাশীন, গুয়ারাখী, পৌষার, ধানকুন্ঠি সহ প্রায় ২৫ টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর তিন ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনাবাদী হয়ে পড়ার আশংকার পাশাপাশি তারা স্থায়ীভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। ওই ফসলী মাঠের জমির মালিক ধাপ ওয়াশীন গ্রামের কৃষক আক্কাছ আলী, খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ধানকুণ্ঠি গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন সহ শত শত কৃষকের দাবী, ফসলী জমি রক্ষার্থেই প্রবাহমান জন গুরত্বপৃর্ন ওই সরকারী খানটি দখল মুক্ত রাখতে পুকুর খনন বন্ধ করা হোক। সরকারী খাল দখল করে পুকুর খনন কাজে ব্যস্ত মুন্টু সরকারের ছেলে মোস্তফা সরকার স্বদর্র্পে বলেন, সকল দিক ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। লেখা-লেখি করে কোন লাভ হবে না। এ ব্যাপারে তাড়াশ ইউএনও ইফ্ফাত জাহান, বলেন কোন প্রভাবশালী ফসলী জমি এবং সরকারী খাল দখল করে পুকুর খনন করতে পারেন না। পুকুর খনন কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটির বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।