শাহ রফিকুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষকের কলাগাছ কেটে ও পুড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের তরফকামাল গ্রামের সমশের আলী ১২ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর ওয়ারিশগণ তার রেখে যাওয়া জমাজমি ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এদিকে অংশসূত্রে মেয়ের ভাগে পাওয়া তরফকামাল মৌজার একটি জমিতে কলাগাছ রোপন করা হয়। কিন্তু ২০ জানুয়ারী আব্দুল মান্নান ও আব্দুল করিমের হুকুমে আব্দুল কাদের, আব্দুল কুদ্দুসসহ অন্য সব ভাইয়েরা মিলে ০৮/১০টি কলাগাছ কেটে ফেলে। শুধু তাই নয় আরও ১০ থেকে ১২টি কলাগাছ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। মান্নান এর বোন জামাই ইয়াছিন আলী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, তার শ্বশুরের মৃত্যুর পর স্ত্রীর ভাগে পাওয়া জমিতে কলাগাছ লাগানো হয়। তারা সবাই মিলে উল্লেখিত জমির কলাগাছ কেটে ফেলাসহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে করে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির মৃত্যুর পর জমিগুলো তারা একাই ভোগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে ৩ বোনকে ৫০ শতাংশ জমি বের করে দেয়। এরপর জমিগুলোতে চাষাবাদ করা হয়।
এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কলাবাগানের পাশে আমাদের ইক্ষুক্ষেত ছিল। ওই ক্ষেতের আখ কাটার পর ইক্ষুর ঢালে আগুন দেয়া হয়। এতে তার কয়েকটি কলাগাছ আগুনে পুড়ে যায়। আমরা তাকে কলাগাছের ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি তা মানছেন না। কলাগাছ কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঝে দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য কেউ কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে।