ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহায় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ২০ হাজার পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে,ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৩৩৮টি খামার রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে উপজেলায় এ বছর ১৯ হাজার ৯১৪টি পশুর প্রস্তত রয়েছে। এর মধ্যে গরু খামারিদের কাউন্সিলিং, পরামর্শ ও খামারে খামারে তদারকি করছে প্রাণিসম্পদ অফিস।
উপজেলা জুড়ে সাপ্তাহিক বার হিসেবে হাতেগোনা ২টি গবাদিপশুর হাট বসে থাকে। কোরবানির হাটের জন্য উপজেলার গবাদিপশুর পাশাপাশি বাইরের এলাকা থেকেও পশু বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে এবারের কোরবানির হাটে পর্যাপ্ত পশু উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা। সব মিলিয়ে কোরবানির চাহিদা অনুযায়ী পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
আসন্ন কোরবানির ঈদে ছাগলনাইয়ার জাহান এগ্রো এবারের কোরবানির ঈদের জন্য চার শতাধিক গরু প্রস্তুত করেছে।
২০১৭ সালে ১২ একর জায়গা জুড়ে দেশী-বিদেশী গরু, ছাগল, মহিষ, হাঁস, ময়ূর, কুকুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখির সমন্বয়ে জাহান এগ্রো লিমিডেটের যাত্রা শুরু হয়। এর মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরেফিন আজাদ চৌধুরী বাদল জানান, জাহান এগ্রোতে বর্তমানে কোরবানির গরু ও দুগ্ধ-গাভীসহ ছয় শতাধিক পশু রয়েছে। কোরবানির জন্য ৬-৭ মণ ওজনের চার শতাধিক গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার খামারের পশুগুলোকে তিনি নিজ উদ্যোগে উৎপাদিত ভুট্টাগাছ থেকে তৈরি সাইলেট, দেশীয় খড়, ভুসি ও সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয়। নিজস্ব অর্থায়নে তিনি খামারটি তৈরি করেছেন। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ভিটামিন কিংবা স্টেরয়েড ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তিনি তার পশুগুলো লালন-পালন করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ খামারিদেরকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’
তিনি আরো জানান, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ৩৩৮টি খামার রয়েছে। এ ছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও পশু পালন করেন। এবার কোরবানের জন্য ১৯হাজার ৯১৪টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে।