মোঃ হাসান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরীব দুস্থ অসহায় অতি দরিদ্র পরিবারের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে উমারপুর আগশিমুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ২ কোটি ছিয়াশি লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট আধুনিক মানের মান সম্মত ডিজাইন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেতু কালভার্ট ৮টি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে, ৪ কি:মি: ৫টি এইচবিবি ইটের রাস্তা টেকসই করানোর লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় যার ব্যয় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। করোনাভাইরাসজনিত কারণে মানবিক সহায়তার আওতায় ৭টি ইউনিয়নের গরীব, দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে ১৪৭ মেঃ টন চাল এবং নগদ অর্থ ৭ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী ক্রয় করে প্রতিটি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত টি আর উন্নয়ন প্রকল্প ১৫ লক্ষ, কাবিখা মাটির প্রকল্প ১৩০ মেঃ টন চাল-গম ১২ লক্ষ টাকার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এস্তেহার ‘আমার গ্রাম আমার শহর, গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে লক্ষ্যে দুর্যোগ সহনীয় ৩৬টি প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়। চৌহালী উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত দেখে এলাকার সাধারন মানুষ সšুÍষ্ট বলে প্রকাশ করেন। এভাবে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরে চৌহালীতে শত ভাগ উন্নয়ন সম্পন্ন হবে। গত জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৪০ দিন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়া এ কাজ ২০২০ এর মার্চে শেষ হয়। চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে স্থানীয় জনগন ও প্রশাসন দাবি করেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউপির কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) মোঃ আব্দুর রহিম। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজনু মিয়া ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে প্রতিদিন এ কাজের অগ্রগতি তদারকি করেন। ফলে উপজেলা জুড়ে উন্নয়ন প্রকল্প কাজে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পিআইও মোঃ মজনু মিয়া জানান, ৪০ দিন প্রকল্পের কোথাও কোন কাজের মান নিম্নমানের হলে পুনরায় সে কাজ আদায় করে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর সংকেত দেয়া ছিল বলে কোথাও কোন দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে তারা জানান। আমরা সর্বক্ষণ কাজের তদারকি করেছি। যার ফলে সকল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলার ঘরমুখি মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দেওয়া হয়।
ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, এবার কঠোরভাবে তদারকি করার ফলে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর সংকেত দেয়া ছিল বলে চলতি কাজের কোথাও কোন দুর্নীতি অনিয়ম হয়নি, ফলে কাজের মানও ভাল।