চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মাদরাসা শিক্ষা অঙ্গনের কোন বিকল্প নেই। চরজাজুরিয়া দাখিল মাদরাসা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সে ভূমিকা নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক পিছিয়ে। পিছিয়ে পড়া এ নারী জাতীকে শিক্ষার মুখ দেখাতে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে ঘোরজান ইউপিতে চরজাজুরিয়া দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরজাজুরিয়া গ্রামে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে মাদরাসাটি অবস্থিত। সাজানো গোছানো টিনশেড মাদরাসা। এর চারপাশে সবুজ শ্যামলের সমারোহ আর নদীর কুল কুল শব্দ যা শিক্ষার্থীর মনকে পাঠে মনোযোগী করে তোলে। কালের পরিবর্তনের হাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে শিক্ষা অব্যাহত রাখতে চরজাজুরিয়া এলাকায় এক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এ প্রতিষ্ঠান। কালের পরিবর্তনের হাওয়ায় নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম। বাউন্ডারি ওয়াল, বাথরুম, টিউবওয়েল, আসবাবপত্র সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটি। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান সচল রাখতে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারি রয়েছে। মাদরাসাটিতে সাধারণ ও কোরআন শিক্ষায় এবতেদায়ী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ মাদরাসার কৃতী অর্জনের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সুদক্ষ সুপার হুজুর। অবকাঠামো সংকটে আমাদের কষ্ট আকাশ সমান, সমাধানের বড় প্রয়োজন। আমাদের দাবি, মাদরাসার সকল সমস্যা সমাধান করে দিন আমরা রেজাল্ট এনে দেব।
মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান জানান, সাজানো গোছানো পরিপাটি মাদরাসা শিক্ষাবান্ধব সরকারের ভিশন ও মানোন্নয়নের যুগে জমি ও ঘর আছে, সকল সমস্যা মাথায় রেখে পাঠদান সচল রাখতে হচ্ছে। অর্থ সংকটে নিজ গতিতে দাঁড়াতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রাচীণ দেয়াল, শ্রেণিকক্ষ, আসবাবপত্র, বাথরুম, টিউবওয়েলসহ অবকাঠামো সংকট সমাধানে কেউ খবর রাখছে না। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজর একান্ত প্রয়োজন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রমজান আলী এ প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রতিশ্রুতি ও ভিশন বাস্তবায়নে সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গন। সংকটময় অবস্থায় মাদরাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩শত, এর মধ্যে নারীশিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাশের হার বেশি এবং ফলাফল সন্তোষজনক। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যা টয়লেট, টিউবওয়েল এবং টিনশেড ঘরের চাল দিয়ে বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। শিক্ষা উন্নয়নে দরকার অবকাঠামো নির্মাণ ও দেয়াল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম এ আরিফ সরকার বলেন, ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্য অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা সমাধান করতে আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।