ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের আমেরিকা প্রবাসী লিয়ন রহমানের মাছচাষে সফলতা। বর্তমানে ৬টি পুকুরে পাঙ্গাস, কাতলা, গুলসা, রুই, পাবদা ও মৃগেল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষে সফলতা পেয়েছেন লিয়ন রহমান। এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঘোড়াঘাট উপজেলার শিধল গ্রামের (কাশিতোলার) মরহুম মোহাম্মদ আলী ফেরদৌসের একমাত্র পুত্র লিয়ন রহমান ছোটবেলা থেকে আমেরিকাতে লেখাপড়া করেন। তিনি আমেরিকা জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস ফাইন্যান্স বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। পিতা আলী ফেরদৌস খোকনের মৃত্যুর পর দেশে ফিরে এসে নিজ গ্রামে মাছচাষ ও কৃষিকাজের উপর গুরুত্ব দেন।
এরপর ২০১৭ সালে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে পাওয়া প্রায় ২০ একর পরিমাণের ৫টি পুকুরে পরীক্ষামূলক পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। গত ৫ বছরে লীজ নেওয়া পুকুরসহ ৬টি পুকুরে চাষ হচ্ছে পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছচাষে লিয়ন রহমান যেমন সফলতা পেয়েছেন তেমনি একজন সফল মৎস্য চাষী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। বর্তমানে তার ৬টি পুকুরে এলাকার ১৫ জন বেকার যুবক কাজ করছেন।
এ বিষয়ে লিয়ন রহমান বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি এলাকার বেকার ছেলেদের এগিয়ে নিতে পুকুরগুলোতে পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছচাষ শুরু করি। মাছচাষে শুরুর দিকে সমস্যা হলেও আমাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন ৬টি পুকুরে মাছচাষ করে কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়ে বছরে ১ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আমেরিকা প্রবাসী লিয়ন রহমান ইচ্ছে করলে তিনি দেশের বাইরে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতেন। কিন্তু এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি মাছচাষের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, মৎস্য ক্ষেত্রে লিয়ন রহমানের সাফল্য অনুকরণীয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাছ হোসেন সরকার বলেন, লিয়ন রহমান মৎস্য চাষে যেমন অবদান রাখছেন তেমনি কৃষিক্ষেত্রেও সমান অবদান রাখছেন।