ইব্রাহিম হোসেন (রাজিব),জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
নিজের বেতন থেকেই ১০০ পরিবারকে চাল,ডাল, আলু, তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বিতরণ করেছেন জয়পুরহাটের খোরশেদ আলম। নিজের চাকরি, বেতন ভাতা ও প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ও স্থবির হয়ে পড়েছে জেনেও তার তোয়াক্কা না করে বেসরকারি উন্নযন প্রতিষ্ঠান “জাকস ফাউন্ডেশন” এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও মানবতার দূত খোরশেদ আলম ঝাঁপিয়ে পড়েছেন করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায়। তিনি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করে মানুষকে সচেতন, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পদ্ধতি প্রন্দশন ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করেছেন। সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটির পর তার অফিস কার্যক্রম বন্ধ হওযার পর থেকেই দেশের এই পরিস্থিতিতে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নিজ বেতনের টাকা দিয়ে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বিতরন করতে থাকেন। তার এ কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আরও কর্মকর্তাগন বেতনের অংশ থেকে এ মহৎ কাজ টি অব্যহত রাখার জন্য এগিয়ে আসেন। সে ধারাবাহিকতায় ১১ এপ্রিল ১০০ টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল সরকারী নিয়ম মেনে করোনা প্রতিরোধে “বাসায় থাকার জন্য উপহার” স্টিকার সংযুক্ত একটি করে বস্তায় খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিতরন করেন। তাছড়া কিছু মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তকে ও রাতে চুপি চুপি এভাবেই সহায়তা করছেন। এ সময় তার কর্মবিভাগের অন্যান্য সহযোগী সহ বন্ধু এবং মানবাধিকার কর্মী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য খোরশেদ আলম পূর্ব থেকেই মানবতার জন্য কাজ করে আসছেন। তিনি গরীব দুঃখীদের মাঝে বিনামুল্যে হেলথ ক্যাম্প, ঔষধ বিতরন, শিক্ষায় সহায়তা প্রভুতি সামাজিক কাজ করে থাকেন। তার এসব মানবতার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতের হায়দ্রাবাদে গত জানুয়ারী’২০২০ মাসে “ওয়ার্ল্ড হিউমিনিটি কমিশন “থেকে আন্তর্জাতিক মানবতা ও শান্তি পুরুস্কার পেয়েছেন। দেশে যত দিন এ দুর্যোগের প্রদুর্ভাব থাকবে, তিনি ততদিনই তার সাধ্যমত এ সহায়তার কাজ টি অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।