শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার দাসেরজঙ্গল বাজারে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি হামলা করে ইদিলপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকারী’র ছোট ভাই ও স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন স্বপন শিকারী’র জমি জবর দখল করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা জমিতে থাকা মোটর সাইকেলের গেরেজ ভাংচুর করেছে। এসময় জমির মালিক বাধা দিলে তাকে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। এঘটনায় গোসাইরহাট থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। অভিযুক্ত কামরুজ্জামান রিপন বলছে সরকারী জমিতে রাতের আধারে দেলোয়ার শিকারী গং আরসিসি ঢালাই দিচ্ছে; এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সহ বাধা দিয়েছি। আর পুলিশ বলছে এঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের দাসেরজঙ্গল এলাকার নিবাসী ও জমির মালিক মো: বেলায়েত হোসেন স্বপন শিকারী জানান, আমাদের খরিদকৃত দাসের জংগল মৌজার এসএ ১২৯ নং খতিয়ানের ৩২১, ৩২২, ৩২৩ নং দাগের ২৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা ভোগ দখল করে আসছি। ইতোমধ্যে ঐ জমি কোন অজ্ঞাত কারণে ভিপি তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে ঐ জমি আমার (বেলায়েত হোসেন) নামে লীজ গ্রহণ করে রীতিমত ১৪২৬ সাল পর্যন্ত সেলামী পরিশোধ করে আসছি। বর্তমানে ১৪২৮ সাল পর্যন্ত সেলামী পরিশোধের জন্য আবেদন জমা রয়েছে। ঐ জমিতে রক্ষিত ৩ তলা দালান, দোকানপাট ও স’মিল রয়েছে। এরমধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্থানীয় মোশারফ হোসেন ওরফে বাদল দেওয়ান, কামরুজ্জামান রিপন, শাহেদ আহম্মেদ বাবু, শাকিল, আহম্মেদ আলী লাঠি-সোটা, দা ও লোহার রড নিয়ে আকস্মিক ভাবে হামলা করে এই জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। এসময় আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জীবননাশের হুমকি দেয়। তারা ঘটনাস্থলের একটি মোটর সাইকেল গেরেজ পিটিয়ে ভাংচুর করে। উপায়ান্ত না দেখে গোসাইরহট থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’কে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে হামলাকারীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় স্থানীয় মোশারফ হোসেন ওরফে বাদল দেওয়ান সহ ৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। এদিকে, এসংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে ইদিলপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন শিকারী বলেন, এটা আমাদের ক্রয়কৃত জমি। পরবর্তী কালে ভিপি তালিকাভুক্তি হলে আমার ছোট ভাই মো: বেলায়েত হোসেন এর নামে লীজ নিয়ে সেলামীর টাকা পরিশোধ করে আসছি। ১৪২৮ সাল পর্যন্ত সেলামীর টাকা পরিশোধের জন্য আবেদন জমা রয়েছে। এমতবস্থায় স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি আমাদের জমি জবর দখল করতে এসে ভাংচুর করেছে। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে জীবননাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান রিপন বলেন, সরকারী জমিতে রাতে বেলা দেলোয়ার শিকারী গং আরসিসি ঢালাই দিয়ে কাজ করছিল। এসময় আমি সহ স্থানীয়রা বাধা দিয়েছি। ওরা আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা আইনী লড়াই করবো।
এব্যাপারে গোসাইরহাট থানার ওসি মোঃ মাহবুব আলম বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।