শাহ রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার লক্ষে গোবিন্দগঞ্জে মোছাঃ রুনা আক্তার নামে এক অসহায় গৃহবধু সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাব গোবিন্দগঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুনা আক্তার। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে রুনা আক্তার বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সে। শ্রমিক স্বামী জাহিদ হাসান ও ৬ সন্তান নিয়ে তার সংসার। একই গ্রামের মৃত কাবাসিয়ার ছেলে আজাদুল কিছুদিন আগে তার স্বামীর নিকট থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। টাকা পরিশোধের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও আজাদুল টাকা পরিশোধ না করলে টাকার জন্য চাপ দিলে আজাদুল তাকে সহ তার স্বামীকে মারধর করে। এ সময় তার বাড়ি-ঘরও ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় আজাদুলের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং ০৬/৩৬৬ তারিখ ২.৯.১৯। মামলা করার পর আজাদুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদকে হত্যার উদ্দেশে আবারো একদিন বেদম মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন জাহিদকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকতে হয়। এ ঘটনায়ও আজাদুলের বিরুদ্ধে একটি জি. আর মামলা দায়ের করা হয়। দুটি মামলা চলমান থাকার পরেও আজাদুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। রুনা বলেন, আজাদুল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের সাথে তার সখ্যতা থাকায় মামলা থাকার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয় না। এরমধ্যে আজাদুল মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমার স্বামীকে হুমকী প্রদান সহ নানা ভয়ভীতি দেখায়। এরই এক পর্যায়ে আজাদুল গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের এ এস আই শওকত আলম সিদ্দিকের সাথে আঁতাত করে গত ৪ ফেব্রুয়ারী আমার স্বামীকে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির দ্বারা তাদের বাড়ির পাশের এক দোকানে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই সিভিল ড্রেসে অবস্থানরত এ এস আই শওকত ও এক কনষ্টেবল আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় ইয়াবা উদ্ধারের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাদক মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। রুনা বলেন, এএসআই শওকত প্রভাবিত হয়ে তার স্বামীকে আটক করেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি আরো বলেন, তার স্বামী একজন শ্রমিক মাত্র। কখনোই সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। প্রতিপক্ষরা এএসআই শওকতকে ম্যানেজ করে তার স্বামীকে আটক করিয়েছে। তার স্বামী আটক থাকায় এখন সে সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্বামী জাহিদ হাসানের মুক্তির দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রুনা বলেন, মিথ্যা মামলার বিষয়ে তিনি গাইবান্ধা পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন কিন্তু এখনো এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহিদের চাচা আবু বক্কর সিদ্দিক,ভাই আব্দুল গোফ্ফার, জাহিদের মা হাজেরা বেগম সহ ওই গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।