শাহ রফিকুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অনিয়মের মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের একহাজার ২১২টি গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার ও বন কর্মকর্তার যোগসাজশে নামমাত্র টেন্ডার দেখিয়ে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। বারবার এই বন কর্মকর্তা অনিয়ম করে গাছ বিক্রি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গত কয়েকদিন ধরে গাছকাটা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে সুবিধাভোগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ-নাকাই সড়কে কৃষ্টপুর নয়াপাড়া হতে ধর্মপুর বাজার পর্যন্ত সামাজিক বনায়নের আওতায় প্রায় এক যুগ আগে রাস্তার দু’পাশে প্রায় দুই হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। সামজিক বনায়নের পক্ষ থেকে গাছগুলো পরিচর্যা ও দেখভাল করার জন্য স্থানীয় নারী-পুরুষদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। গাছগুলো পরিপক্ক হওয়ায় বিক্রির জন্য গত বছরে গাছ নির্বাচনের নম্বর দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে একবছর পর উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সুবিধাভোগীদের না জানিয়ে কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে দেন। নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রি করায় একদিকে যেমন সুবিধাভোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্যদিকে সরকার বাড়তি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করা হলে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে গাছগুলো বিক্রি করা যেত। এ বিষয়ে সুবিধাভোগী ফিরোজ কবির তালুকদার বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। বন কর্মকর্তার কাছে গাছ বিক্রির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি পরে দেবেন বলে এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম নামে আরেক সুবিধাভোগী বলেন, গাছ বিক্রির মূল্যের বিষয়ে বন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই বলে জানান। এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। আমার কাছে কোনো কাগজপত্র থাকে না। সঠিক তথ্য নিতে গেলে বিভাগীয় অফিসে যেতে হবে। এ নিয়ে রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।