গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জে এ বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনে মন্ডপ বেড়েছে ২১টি। এ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৩০১টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ কারণে প্রতিবছরই পূজামন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পূজা সংশিষ্টরা জানিয়েছেন। পূজাকে কেন্দ্র করে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের নিয়ে জেলা পুলিশ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত বছর জেলায় ১ হাজার ২৮০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩১৫টি, মুকসুদপর উপজেলায় ২৯৮টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩৩টি ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৫১টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২৫টি, মুকসুদপর উপজেলায় ২৯৯টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩২টি ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে জেলায় এ বছর মোট ১ হাজার ৩০১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর গোপালগঞ্জ সদরে ১১টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০টি ও মুকসুদপুর উপজেলায় ১টি পূজা মন্ডপ বেড়েছে। পক্ষান্তরে, কাশিয়ানী উপজেলায় এ বছর ১টি পূজা মন্ডপ কমেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল হক বলেন, এ বছর জেলায় ২১টি পূজামন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ১ হাজার ৩০১টি পূজামন্ডপে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণের নিমিত্তে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্র্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাছে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে। চাল বরাদ্দ পাওয়া মাত্র আমরা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বিতরণ শুরু করবো। শেষ মুহুর্তে পূজা মন্ডপের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।