এস এম সাব্বির: জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দিনেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকর এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে তারা। রোববার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সমানে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র পিউ মৃধা। তিনি বলেন, আমাদের এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হলে বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলন (২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে) শুরু করি। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর বহিরাগতরা হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা আহত হন। কিন্তু এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন। আমরা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবী জানাই। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উপর থেকে আমরা আস্থা হারিয়েছি। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখি। এখন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেলে আন্দোলন ছেড়ে আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো। এসময় তিনি পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এছাড়া দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের প্রতিকী ফাঁসি কার্যকর ও বিক্ষোভ মিছিল, বিকাল বিকালে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদী নাটক এবং সন্ধ্যায় আলোর মিছিল করে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে গণধর্ষণের শিকার ঐ শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে শহরের নবীনবাগ নামক স্থানের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক অটোতে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭/৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ এর নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে এবং তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।