গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রনজিৎ রায় (৮৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে মাদকসেবী দুর্বৃত্তরা। এসময় গুরুতর আহত হয় বৃদ্ধের ছেলে ঝন্টু রায়। গত ১২ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মানিকহার এলাকার মালোপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ আনিচুর রহমান জানান, গতকাল রাতে রনজিৎ রায়ের ছেলে বাবু রায় মানিকহার মালোপাড়া ব্রীজে বসেছিলেন। এসময় বাবু ঐ ব্রীজের উপর অবস্থান করা মিল্টন খাঁর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেললে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়, থাপ্পর মারে মিল্টন। পরবর্তীতে বাবু রায় বাড়িতে গিয়ে বাবা রনজিৎ রায় ও ভাই ঝন্টুকে ডেকে নিয়ে আসেন। তারা বাবুকে থাপ্পর মারার কারণ জানতে চাইলে মিল্টন খাঁ ও তার সহযোগী লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে মিল্টন খাঁ, শিপন খাঁ ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রনজিৎ ও ঝন্টুকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। রনজিৎ ও ঝন্টুর আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মিল্টন খাঁ, শিপন খা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনজিৎ রায়কে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আাহত ঝন্টু রায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
নিহত ও আহতদের দেখতে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ খাইরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের একটি ঊর্র্ধ্বতন প্রতিনিধি দল হাসপাতালে ছুটে যান।
শারদীয় দূর্গোৎসবের পূর্ব মুহুর্তে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী খুনের ঘটনায় পুরো জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির গাজী জানান, রনজিৎ রায়ের হত্যাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজার দাবী জানান এলাকাবাসী। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।