গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১১, উদয়ন রোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সোবাহান খান (৮০) তার ছেলে জাহাঙ্গীর খান মেজবাহ (৫৫) কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন ও সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টার প্রতিবাদে স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৫) এবং কন্যা তানিয়া খান (৩৮) কে সঙ্গে নিয়ে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর সম্মেলন কক্ষে আজ সকাল নয়টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্ধ বাবার পক্ষে তার কন্যা তানিয়া খান লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। অভিযোগে বলেন আমার বাবা আব্দুস সোবাহান খান ১৯৭১ সালে প্রথম স্ত্রী হাফেজা বেগমকে বিবাহ করেন। বিয়ের পরে শিশু সন্তানদের ফেলে ২৮/০৮/১৯৮৯ তারিখে আমার বাবার নগদ অর্থ ও স্বর্নালঙ্কার নিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে যায় এবং আমার বাবা কোন উপায় না পেয়ে থানায় মামলা করেন। মামলা নং জি.আর ৯৮/১৯৮৯ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রথম স্ত্রী হাফেজা বেগমকে ২৯/০৮/১৯৮৯ তারিখে তালাক দেয়। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে আমার মা (দ্বিতীয় স্ত্রী) আকলিমা বেগমকে বিয়ে করেন এবং প্রথম পক্ষের শিশু সন্তান সহ আমাদেরকে লালন পালন করে প্রাপ্ত বয়স্ক করেন। পরবর্তীতে আমার বাবা তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান জাহাঙ্গীর খান মেজবাহকে বৃদ্ধ বয়সে দেখা শোনার প্রতিশ্রুতি দেয়ার শর্তে জমিজমা বিক্রী করে নগদ অর্থ তুলে দেয়। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে সেবা তো দুরের কথা নানা রকম ভয় ভিতি ও হুমকি দিয়ে বসত ভিটা তার নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীর খান মেজবাহ ২০১৮ সালে আমাদের নামে একটা মিথ্যা মামলা করে, মামলা নং ১৮৬/২০১৮। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আমরা মিথ্যা মামলাটি থেকে অব্যাহতি পাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর খান মেজবাহ ২০২২ সালে আরও একটি মিথ্যা মামলা করে, মামলা নং ০৭/২০২২। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আমরা মিথ্যা মামলাটি থেকে অব্যাহতি পাই। গত ৩০/০৫/২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে আমার মা বাড়ির প্রবেশ গেটের দিকে গেলে আমার বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছেলে জাহাঙ্গীর খান মেজবাহ তার শ্যালক রাইসুল রাজ জকি, তার বোনের ছেলে আকাশ এবং তার তিন বোন জামাই ইসমাইল ভূইয়া, আরিফ ও পলাশ মিলে ব্যাপক মারধর এবং হত্যাচেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশি সহায়তা নিয়ে আমরা কোনরকম রক্ষা পাই। কিন্তু একই দিন বিকাল ৩.৩০ মিনিটে আমার অন্তসত্তা বোন রেহানা খান এবং তার স্বামী শাহিন কে ব্যাপক মারধর করে। বর্তমানে তারা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে সোবহান খানের ছেলে মেজবাহ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করেন। এমতাবস্থায় আমার বাবা সোবাহান খান, মা আকলিমা বেগম এবং আমরা দুই বোন তানিয়া খান ও রেহানা খান উল্লেখিত সকল চক্রান্ত থেকে রক্ষা ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিকট দাবী করছি।