গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার অন্তর্গত ০৮ নং লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা ও ইভিএম মেশিন ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংঘর্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ইয়াছিন শেখ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন নিহত ইয়াছিন শেখ এর বাবা আব্দুর রাজ্জাক শেখ।
পুলিশ জানায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ০৮ নং লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের দাবী নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। নির্বাচনে পরাজিত ০৩ জন মেম্বার পদপ্রার্থী ইব্রাহিম কাজী (ইব্রা), সোহাগ হোসেন পলু এবং মতিয়ুর রহমান ফকিরের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে নির্বাচনী মালামাল (ইভিএম) মেশিন ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাধা দিলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় সদর সহকারী কমিশনার ভূমি ও সদর থানার ওসির গাড়ীতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে সদর থানার ওসি মোঃ জাবেদ মাসুদ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দশ সদস্যসহ আহত হয় অন্তত ২৫ জন।
এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত হয় অন্তত ০৩ জন। যারা লতিফপুর ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকার বাসিন্দা। গুরুতর আহত ইয়াছিন শেখ (৩০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল সকাল ৬টার দিকে গুরুতর আহত ইয়াছিন শেখের মৃত্যু হয়। নিহত ইয়াসিন শেখ পেশায় ট্রলি চালক ছিলেন।
এদিকে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত সোমবার রাত ১২:০৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক গনেশ বিশ^াস এবং ০৫ নং ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সেলিম তালুকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক হাজার জনকে আসামী করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩৪ ও ৩৫। এ ঘটনায় রাতেই দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।