গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি, কৃষি অফিসের তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকুল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ন মাঠজুড়ে শুধুই পাকা আমন ধান। সোনালি ধানের শীষ দুুলছে মৃদু বাতাসে। পোকামাকড়, রোগ বালাই আক্রমণ ছাড়া বেড়ে ওঠা পাকা ধানের দুলুনি সুখের বার্তা দিচ্ছে কৃষককে। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মাসেই সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা- এমনটাই আশা কৃষি বিভাগের। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গোপালগঞ্জে এক লাখ ছয় হাজার ১২৭৭৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চাষ হয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গোপালগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ২৯৮৫ হেক্টর জমিতে, মুকসুদপুরে ১৫৫৩ হেক্টর জমিতে, কাশিয়ানিতে ৪৩৯২ হেক্টর জমিতে, কোটালীপাড়ায় ২২৮৩ হেক্টর জমিতে এবং টুঙ্গিপাড়ায় ১৫৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমান ধানের আবাদ হয়েছে। গোপারগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৩২১০ মেট্রিক টন। এতে কৃষকরা সাম্প্রতিক ঘুর্নিঝড় মিধিলির কারনে ফসল নষ্টের ক্ষতির রেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠবে। গোপারগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক মুন্না মুন্সী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। একই গ্রামের আর এক কৃষক হরিপদ বালা বলেন গোপালগঞ্জ ধান গবেষনা কেন্দ্র থেকে উন্নত রোপা আমনের বীজ ও কারীগরি সহায়তা পাওয়ার ফলে ফলন যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জেলা কৃষি কর্মকর্তা মাপরোজা আক্তার বলেন রোপা আমনের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ অঞ্চলের এক ফসলি কৃষি জমিগুলো এখন তিন ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হয়েছে।