কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের দড়ি জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত হেকমত আলী মোড়লের ছেলে অলিউল্লাহ মোড়লের (৬৫) মাথায় আঘাতজনিত কারণে মাথা ফেটে যায়। তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। অলিউল্লাহ মোড়লের ভাই মনির মোড়লের মেয়ে রুমি আক্তার (১৬) এবং পুত্র জাকির হোসেনকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ ডিসেম্বর সোমবার সকালে দড়ি জাঙ্গালিয়ার মনির মোল্লা বাড়ির পাশে। এসময় দুষ্কৃতিকারীরা দুইটি খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং গরুর গোয়াল ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। তারা আনুমানিক ২০টি কলাগাছ এবং তিনটি পেয়ারা গাছ কেটে ফেলে ও একটি শসার কাল ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে ওরা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মনির হোসেন মোড়ল বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিবাদী জহির মাঝি পিতা : সাহাজউদ্দিন মাঝি জানান, আর এস রেকর্ড ভল্ট্রমে অলিউল্লাহ মোড়ল গংদের নাম আসায় তারা এই জমির মালিক বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই রেকর্ডের সঠিক কোন কাগজ দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিগত প্রায় ১০০ বছর যাবত আমাদের পিতা ও পিতামহ এই জমি ভোগ দখল করে আছে এবং আমরা এখন ভোগ দখল করে আসছি এ খড়ের গাদা এবং গোয়ালঘর ভাঙচুর আমরা করিনাই। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধ মেটানোর জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ একাধিকবার সালিশের জন্য ডাকলেও অলিউল্লাহ সালিশে উপস্থিত হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহীদুল্লাহ দর্জি জানান, আমি আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে দুইবার ইউপি কার্যালয়ে অলিউল্লাহ গংদের ডেকেছিলাম জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা উপস্থিত হয়নি এবং ২৭ তারিখের ঘটনা আমি জ্ঞাত আছি। কালীগঞ্জ থানার এস এস আই ইসলামকে ফোন করলে অভিযোগের ব্যাপারে উনি বলেন, মনির হোসেন মোড়ল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ থাকে যে, বিজ্ঞ অতিরিক্ত আদালত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গাজীপুর মামলা নং ৯১১/২১ তাং২২/১২/২০২১ইং ধারা ১৪ ফৌজদারী কার্যবিধি দায়ের করেন, উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নোটিশপ্রাপ্ত হইয়া ১৪৪ ধারা জারি করেন। আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেন। অলিউল্লাহ মোড়ল শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি হয়। যার রেজিঃ নং ৩৯৯২৩/১৩৩, জাকির হোসেন ১৩৫৭২/১২, রুমি আক্তার ১৫৫৭৩/১৩ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে ছাড়পত্র পান।