মো. নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুর ১৩ উপজেলার মধ্যে সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার লিচু বিখ্যাত। এসব লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি, কাঠালী লিচু উল্লেখয্যেগ্য। লিচু উৎপাদনে খ্যাতি অর্জন করেছে দিনাজপুর জেলা। লিচুর জেলা হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত পেয়েছে। জেলায় ক্রমান্বয়ে লিছু বাগানের সংখ্যাও বাড়ছে। দিনাজপুর জেলার গ্রামগঞ্জে লিচু গাছগুলো ভরে গেছে মুকুলে-মুকুলে। বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। লিচু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে অধিকাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। লিচু চাষীরা জানান, লিচু বাগান শুরুর দিকে গাছ ছোট থাকা অবস্থায় কয়েক বছর সাথি ফসলের চাষ করা যায়। গাছের মুকুল আসার পূর্বে কীটপতঙ্গ, মাকড়োশা দূরীকরণের স্বল্প পরিমান বালাইনাশক স্প্রে করা হয়। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হয়। জেলার চাহিদা মেটানোর পর ঢাকাসহ সারাদেশে লিচু সরবরাহ করা হয়। কয়েকধাপে বিক্রি হয় লিচুর বাগান। গাছে মুকুল আসার পূর্বেজ্জ মাসের জন্য বাগান বিক্রি করে দেন লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে। অনেকে লিচু গুটি হওয়ার পর বিক্রি করেন। লিচু পাকার পূর্বে কয়েক বার পরিবর্তন হয় বাগানের মালিকানার। অনেক বাগান মালিক অধিক লাভের আশায় নিজেরাই পরিচর্চা করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ তহিদুল ইকবাল জানান, দিনাজপুর জেলায় এবার ৫ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হবে। জেলার বিরল উপজেলায় সবচেয়ে বেশী লিচু চাষ হয়। সারা দেশে কম বেশী লিচুর চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। জেলায় প্রতিবছরই লিচুর চাষ বাড়ছে। দিনাজপুরের লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী এই লিচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবার দিনাজপুরের লিচু পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হবে। ইতোমধ্যে লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ফলন ভাল হবে।