কামরুজ্জামান,(মেহেরপুর)বুরোঅফসি: গাংনীর সাহারবাটি ইউপিতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (কর্মসৃজন) প্রকল্প সমূহের রাস্তা মেরামত, কবরস্থান উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে।উপজেলা পিআইও অফিস ও পিআইসিদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগির চুক্তি করে কাগজে কলমে ভূঁয়া মাষ্টার রোল করে এই প্রকল্পের টাকা পকেটস্থ করলেও অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্টরা দেখছেন না। ফলে সাহারবাটি ইউপিতে গৃহীত ৫ টি প্রকল্পে ১৪৭ জন লেবারের জায়গায় কমসংখ্যক শ্রমিক লাগিয়ে কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা-অর্থ পকেটস্থ করছে পিআইসি রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিআইসিরা জানান,প্রতিটা প্রকল্প থেকে কয়েকজন শ্রমিকের টাকা অফিস কেটে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সাহারবাটি ইউপির সাহারবাটির কাজলা ব্রিজ হতে বাঁশবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়া নীলের মাঠ মুখী রাস্তা মেরামতের জন্য ( পিআইসি- ফেরদৌসি) ৩০ জন শ্রমিক থাকলেও সরেজমিনে উপস্থিত পাওয়া গেছে (১৭ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা)মোট ২৫ জন। এখানে লেবার সর্দার শাহজাহান জানান, সকলে ঠিকমত আসেনা। সচিবের ১ জন ও মেম্বরের ১ জন করে লেবার মাষ্টার রোলে দেয়া আছে। এছাড়াও তালিকার বাইরে কয়েকজনকে নিয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। একইসাথে সাহারবাটি বাঁশবাড়ীয়া মোজাম্মেলের বাড়ী হতে বাঁশবাড়ীয়া খোদাবক্সের নলকূপ মুখী রাস্তা মেরামতের জন্য (পিআইসি-তহশিন আলী) ৩০ জন লেবারের সকলকেই উপস্থিত পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে ভোমরদহ গ্রামের ২ টি প্রকল্পে (পিআইসি- হায়দার আলী, আবুবকর) এবং ইকো পার্কেও উন্নয়ন প্রকল্পে (পিআইসি-বাবলু কাশেম) সন্তোষজনক লেবার পাওয়া যাইনি। উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য নেয়া কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে দলীয় বিবেচনায় শ্রমিকদের নামের তালিকা করা হয়েছে। শ্রমিকদের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম না থাকলেও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরেজমিনে সাহারবাটি ইউপির ৩ টি প্রকল্প ঘুরে স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমাদের কার্ড দেয় না। আমাদের কার্ড মেম্বররা তাদের নিজের কাছে রেখে মনগড়া হাজিরা করছেন। এনিয়ে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে এসব অভিযোগ অবহিতকরণের জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, প্রকল্পে অনিয়মের সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় আসছে। এসব অনিয়ম দেখতে পিআইওকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।