মেহেরপুর ব্যুর অফিস:
মেহেরপুরের গাংনীতে বিনা চিকিৎসায় ইসরাক হোসেন(৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় গাংনী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম সহ কতব্যরত চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে রোগীর স্বজন স্থানীয়রা। ইসরাক হোসেন পৌর এলাকার পশ্চিম মালস্দহের রুস্তম আলীর ছেলে। ইসরাক হোসেনের ছোট ছেলে মোস্তফা জামান জানান, বিকেলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দিতে গড়িমসি করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম কে তার বাসভবনে ডাকতে গেলে তিনিও রোগীর সেবা দিতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিহতের স্বজন সাবেক ফুটবলার সেন্টু জানান, তার রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের কাছে কাকুতি মিনতি করেও তারা কোন কর্ণপাত না করে আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। ইসরাক হোসেন এর নিকটাত্মীয় নাহার জানান, ডাক্তাররা দেখা তো দূরের কথা প্রেসার মাপতে ও অসেনি। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি করেন তিনি। গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, হাসপাতালে হট্টগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত রেগীর স্বজনদের শান্ত করা হয়। তবে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন বিনা চিকিৎসায় ইসরাক হোসেন এর মৃত্যু হয়েছে। গাংনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নবীরউদ্দীন বলেন, একটা রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এটা দুঃখজনক, এটা কাম্য হতে পারে না। ইসরাক হোসেন বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তিনি। গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক জানান, বিনা চিকিৎসায় রেগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কর্মরত ডাক্তারদের সাথে কথা বলি এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানায়। তবে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়। গাংনী হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, রোগী মৃত্যুও ঘটনায় উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলমের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মেহেরপুর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন জানান, বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর খবর আমাকে কেউ জানাইনি। তবে ওই পরিবার থেকে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।