মোঃ রউফ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার কয়রা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৬২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এসব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে তাদের এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। ঐসব এলাকার মানুষ বলেন, যদি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয় তাহলে আমাদের খুব উপকার হবে। বারবার হারাতে হবেনা জায়গা-জমি, ভিটা-মাটি। তখন স্থিতিতে বসবাস করতে পারবো।
এ বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমার এলাকায় মোট ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে হোগলা গ্রাম হতে দোষালিয়া, গোবিন্দপুর, মেগারয়াট, লোকা, হায়াতখালির সুবোলের হয়ে বাওলিঘাট ও সুতি বাজার পর্যন্ত মোট ৪০ কিলোমিটার। এসব এলাকায় কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী জানান, তার ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে গোলখালী, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, খানিটানা, জোড়সিংও বিনাপানিসহ মোট ২০ কিলোমিটার। তিনি বলেন, আমার এইসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি।
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকায় ২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। সেখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসী স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবে।
এছাড়া উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নেই বলে দাবি করে সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি সদস্য গণেশ মন্ডল বলেন, কিছু জায়গায় একটু সমস্যা আছে। তাছাড়া তেমন কোনো বড় ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা নেই।
বিষয়টা নিয়ে কথা হয় কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম এর সাথে। তিনি বলেন, আমাদের এই অঞ্চলটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসপ্রবণ অঞ্চল। প্রায় প্রতিবছর দূর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। তবে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাব-বুনিয়া এলাকা থেকে।