নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯টি শস্য উৎপাদান বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনাবাবদ কৃষকদের বীজ, সার ও পরিবহন খরচে নগদ টাকা দেওয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিশস্য সাতটি ও খরিপ-১ এর আওতায় দুটি শস্য মোট ৯টি শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণোদনা দেওয়া বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনা পাবে। প্রতিটি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার (ডিএপি ও এমওপি) এবং পরিবহন খরচ দেওয়া হবে।
বর্তমান রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেদের তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বীজ ও সার প্যাকেট হিসেবে দেওয়া হবে। পরিবহন খরচ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে।
অন্যান্য ফসলের সঙ্গে এবার পেঁয়াজে কৃষক প্রতি এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। সব মিলে এই আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এক হাজার ৭১৪ টাকা। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রতি এক টাকা ব্যয়ের বিপরীতে এক টাকা ৮৩ পয়সা আয় হবে বলে সরকার আশা করছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় অর্থাৎ ফসল ওঠার সময় যেন আমদানি না হয় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।