নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের উমর পান্থাবাড়ী মৌজার বেরুটারী গ্রামের প্রবাসী আকতার আহসান বিদেশে উর্পাজন করে উক্ত গ্রামে নিরীহ মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও পুকুরসহ নানাবিধ সমস্যা সমাধান করে হাজার হাজার লোকের সুনাম অর্জন করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রবাসী আকতার আহসানের এ ধরনের সৎ মানসিকতা ও মানুষের উন্নয়নের জন্য সদা সর্বদাই বিদেশের বাড়িতে বসে চিন্তাভাবনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত গ্রামের দুইটি রাস্তা নিজস্ব জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেন। যাতে করে এলাকার গরিব জনসাধারণ কুড়িগ্রাম শহরে সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার পথে অগ্রসর হতে পারে। উল্লেখ্য যে, একটি রাস্তার পাকাকরণের কাজসহ উন্নয়নের স্বার্থে বহুবিধ কাজ হাতে নেন। অন্য রাস্তাটিতে জনবসতিপূর্ণ না থাকায় বিভিন্ন ধরনের বখাটে লোকজন আড্ডা দিয়ে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপসহ মাদকদ্রব্য সেবন করে। পরে এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করা হলে প্রশাসনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটি জানতে পেরে প্রবাসী আকতার আহসান ঐ বিতর্কিত রাস্তাটি তার লোকজন দিয়ে বন্ধ করে দেন। যেটি রাস্তা বর্তমানে চলাফেরার যোগ্য সেটি দিয়েই ঐ এলাকার সমস্ত জনগণ সুন্দরভাবে চলাফেরা করছে। কিন্তু এই বিতর্কিত রাস্তাটির উন্নয়নের স্বার্থে গোপনে সরকারি বরাদ্দ এনে উমর মজিদ ৯নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম ২০১৭-২০১৮ইং অর্থবছরে ১০ টন কাবিখা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প ধরে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই বিতর্কিত রাস্তাটিতে উক্ত কাবিখা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির কোন কাজই করা হয়নি। এই রাস্তাটির মাটির কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে প্রবাসী আকতার আহসানের অর্থায়নে। কথা হয় বেরুটারী গ্রামের হায়বর আলী, রফিকুল ইসলাম, হালিম বকসী, রহমান আলী, উমর ফারুক, রেজওয়ান আলী, মাজেদুল, মোঃ লুৎফর রহমান, হযরত আলী, ইয়াকুব আলী ইব্রাহিমসহ শতাধিক লোকের সাথে তারা সকলেই এই প্রতিবেদককে জানান, প্রবাসী আকতার আহসান দুটি রাস্তার কাজ তার নিজস্ব অর্থায়নে করেছে। এখানে কোন কাবিখা বা কর্মসৃজন কর্মসূচির কোন কাজ করতে আমরা দেখিনি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমের সাথে ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, ১০ টন কাবিখার ও কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ এ রাস্তায় করেছি। এলাকাবাসী উক্ত প্রকল্পের কথা না জানার কথা বলা হলে তিনি তার সঠিক জবাব না দিয়েই মোবাইল বন্ধ করে দেন।