কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার আলোচিত সাংবাদিক রুবেল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৪টার সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া গোলাম রহমান রোড এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র মোঃ কাজী সোহান শরীফ (৪৪) এবং চর কুঠিপাড়া এলাকার মৃত খন্দকার হারুন অর রশিদের পুত্র খন্দকার আশিকুর রহমান জুয়েল (৪০)। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটের সময় র্যাবের পাঠানো ই-মেইলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের স্বাক্ষরিত ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া জেলা রির্পোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় কুষ্টিয়ার খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসিবুর রহমান রুবেল নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫ দিন পর গত ৭ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওর্য়াডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের নিচে গড়াই নদী থেকে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের চাচা মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। সাংবাদিক হত্যা করার ঘটনাটি দেশের বহুল প্রচারিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ কারণে আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল শনিবার রাতে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামী মোঃ কাজী সোহান শরীফ এবং খন্দকার আশিকুর রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বর্পূণ তথ্য দিয়েছে বলে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে সাংবাদিক রুবেল নিখোঁজের পর থেকে কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছিলো।