কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলার মোট ২২টি ইউনিয়নে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় আজ রবিবার দশম তম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন উপজেলার মধ্যে কটিয়াদীতে ৯টি ইউনিয়ন, হোসেনপুরে ৬টি ইউনিয়ন ও ভৈরবের ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১০৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে মোট ৭৯০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৬১ জনসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ১১৫৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জনসহ সাধারণ সদস্য (মেম্বার) ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৫৩২ জন প্রার্থী। হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন সহ সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৩০১ জন প্রার্থী। এছাড়াও ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জনসহ সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৩২৯ জন প্রার্থী। কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ এবং ২টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যান্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর নেতাকর্মী রয়েছেন। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৬ জন প্রার্থী ও দুইটি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ২ জন প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়াও বাকি ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থক প্রার্থী রয়েছেন। ভৈরব উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার ৭ জন প্রার্থী, ৪টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার ৪ জন প্রার্থী ও দুই ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।